সম্মানিত সুধী,
আসসালাুম আলাইকুম
একজন নেক সন্তান বাবা-মার জন্য মহান আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত। প্রত্যেক বাবা-মাই চায় যে, তার সন্তান যেন শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়। এজন্য চাই একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
একটি সু-শিক্ষিত জাতি মানেই একটি উন্নত বিশ্ব ও আদর্শ জাতি। তবে শিক্ষা মানে যদি হয় কালো কালির কিছু বর্ণ শেখা, তাহলে আর যাই হোক না কেন তা কখনো আদর্শ শিক্ষা হতে পারে না। এবং সে শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিকে সু-শিক্ষিত বলা য়ায় না। শিক্ষা এবং দীক্ষার শুভ মিলনের নামই হচ্ছে সু-শিক্ষা। অতএব, একজন আদর্শ মানুষ হয়ে দেশ-জাতি ও ইসলামের সেবায় সফল ভুমিকা রাখতে সু-শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
শেরপুর এই প্রথম আমরা বাংলা, ইংরেজি ও আরবী ভাষার প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়ে একটি উন্নত ধারার সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। আপনারা অবগত আছেন যে, সাধারণ শিক্ষা কারিকুলামে বাংলা ও ইংরেজির প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হলেও বর্তমান পরিস্থিতি কারোর অজানা নয়। নৈতিক শিক্ষার অনুপস্থিতির কারণে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হওয়ার মূল যোগ্যতা তাদের মাঝে পাওয়া দুষ্কর।
সন্তান প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জন করলেও প্রকৃত মানুষ না হওয়ার কারণে বাবা-মা ও পরিবারের জন্য কখনো বোঝা হয়ে উঠে। এমনকি নৈতিক শিক্ষার অভাবে সন্তান উচ্চ শিক্ষিত হয়েও মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
নিশ্চয় আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই না যা আমাদের সন্তানকে প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। যুগ সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানবিক মূণ্যবোধ সম্প্ন্ন, নৈতিকমানে উন্নীত, সৎ চরিত্রবান একজন সফল মানুষ। সেজন্য দরকার আল-কুরআনের শিক্ষা।
আমরা মনে করি, অপরাধমুক্ত সুস্থ্য সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে খোদাভীতির বিকল্প নেই। লোক চক্ষুর অন্তরালে পুলিশি পাহারা যেখানে অনুপস্থিত, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী যেখানে অপারগ, স্যাটেলাইটের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি যেখানে অসহায়, সেখানে আল্লাহ ভীতিই পারে একজন মানুষকে অপরাধ থেকে বিরত রাখতে। ডাক্তার, ইঞ্জনিয়ার, সচিব, ও বিচারকের আসনে আসীন হয়েও দেশ ও ইসলামের সেবা করতে পারে। সেই আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা পরিবার।
আপনারা অগত আছেন যে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তানযিমুল কুরআন স্কুল এন্ড মসাদরাসা অতি অল্প সময়ে শেরপুর জেলায় ব্যাপক সুনামের সাথে এগিয়ে চলছে। আপনাদের আস্থা ও ভালোবাসার কারণে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে একাধিক ক্যাম্পাস চালু আছে। পূর্বের ন্যায় আল্লাহর প্রতি আস্থা, আপনাদের ভালোবাসা ও সৎ পরামর্শই আমাদের সম্বল।